ময়মনসিংহ ০৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচন্ড তাপাদহে পুড়ছে যশোরের আম চাষিদের ভাগ্য

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০১:৩২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১
  • / ৫৪৪ বার পড়া হয়েছে

ফারুক হাসান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ গোটা যশোর জুড়ে বইছে প্রচন্ড তাপাদহ। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আমের মুকুল। আমের দ্বিতীয় রাজধানী খ্যাত যশোর অঞ্চলে প্রচন্ড খরার কারনে এবার আমের কাংখিত ফলন হবে না। কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে আম চাষীরা এবার সর্বশান্ত হতে বসেছে। গেল বছর ঘূূণিঝড় আম্ফান এ করোনা ভাইরাসের প্রাদুভাবের ক্ষতি পুষিয়ে উঠার আশা করছিলেন চাষিরা। এবছর গাছ ভর্তি আমের মুকুলে হাসি ফুটে উঠে কৃষকের মুখে। প্রচন্ড তাপাদহে আমচাষীদের সেই স্বপś পুড়তে শুরু হয়েছে। বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে যশোর অঞ্চল দিয়ে।আম বাগান গুলোতে মুকুল আশার সাথে সাথে বেশি লাভের আশায় যতś শুরু করেন চাষিরা।কিন্তু প্রচন্ড দাবাদহে প্রতিদিনই বোঁটা থেকে ঝরে পড়ছে ছোট বড় আম। শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, এবছর শার্শা উপজেলায় তিন হাজার বিঘা জমিতে আম চাষ করছেন এক হাজারেরও বেশি কৃষক। দেশিলেংড়া,ফজলী,রোপালী,হিমসাগর,গোপালভোগ,আম্রপালী,মল্লিকা জাতসহ অন্তত ২৭৫ আমের বাগান রয়েছে গোটা এলাকায়। দেশের দ্বিতীয় বড় আমের হাট শার্শার বাগআঁচড়া এলাকা জুড়ে কোটি কোটি টাকা লগিś করে আম ব্যবসায়িরা।আমচাষের সাথে জড়িত মৌসুমি প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক।তারা দিনরাত আমের গুটি ঝরা বন্ধ এবং ক্ষতিকর পোকার আক্রমন থেকে রক্ষার জন্য পরিচর্যা করে যাচ্ছে। উপজেলার সামটা গ্রামের মফিজুর রহমান বলেন, এবছর আম গাছে অনেক গুটি এসেছিল কিন্তু প্রচন্ড তাপে আমাদের সব স্বপś পুড়ে যাচ্ছে। গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেও রক্ষা করা যাচ্ছে না আমের মুকুল। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এবছর আমের ফলন মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।স্থানীয় হাড়িখালী গ্রামের আম ব্যবসায়ি সালাম জানান, বাগান মালিকদের বিঘা প্রতি অগ্রিম ৪০-৪৫ হাজার টাকা দিতে হয়।আবার বাগান পরিচর্যার কাজে প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়।আম চাষে এখন লাভ তো দুরের কথা খরচের টাকাও উঠবে না। শুধু শার্শা নয়, এ অবস্থা বিরাজ করছে আমের উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে থাকা কলারোয়া,চৌগাছা, মহেশপুর এলাকার চাষীরা। ক্ষতিগ্রস্ত আমচাষীরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারের কাছে প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

প্রচন্ড তাপাদহে পুড়ছে যশোরের আম চাষিদের ভাগ্য

আপলোড সময়: ০১:৩২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১

ফারুক হাসান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ গোটা যশোর জুড়ে বইছে প্রচন্ড তাপাদহ। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আমের মুকুল। আমের দ্বিতীয় রাজধানী খ্যাত যশোর অঞ্চলে প্রচন্ড খরার কারনে এবার আমের কাংখিত ফলন হবে না। কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে আম চাষীরা এবার সর্বশান্ত হতে বসেছে। গেল বছর ঘূূণিঝড় আম্ফান এ করোনা ভাইরাসের প্রাদুভাবের ক্ষতি পুষিয়ে উঠার আশা করছিলেন চাষিরা। এবছর গাছ ভর্তি আমের মুকুলে হাসি ফুটে উঠে কৃষকের মুখে। প্রচন্ড তাপাদহে আমচাষীদের সেই স্বপś পুড়তে শুরু হয়েছে। বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে যশোর অঞ্চল দিয়ে।আম বাগান গুলোতে মুকুল আশার সাথে সাথে বেশি লাভের আশায় যতś শুরু করেন চাষিরা।কিন্তু প্রচন্ড দাবাদহে প্রতিদিনই বোঁটা থেকে ঝরে পড়ছে ছোট বড় আম। শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, এবছর শার্শা উপজেলায় তিন হাজার বিঘা জমিতে আম চাষ করছেন এক হাজারেরও বেশি কৃষক। দেশিলেংড়া,ফজলী,রোপালী,হিমসাগর,গোপালভোগ,আম্রপালী,মল্লিকা জাতসহ অন্তত ২৭৫ আমের বাগান রয়েছে গোটা এলাকায়। দেশের দ্বিতীয় বড় আমের হাট শার্শার বাগআঁচড়া এলাকা জুড়ে কোটি কোটি টাকা লগিś করে আম ব্যবসায়িরা।আমচাষের সাথে জড়িত মৌসুমি প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক।তারা দিনরাত আমের গুটি ঝরা বন্ধ এবং ক্ষতিকর পোকার আক্রমন থেকে রক্ষার জন্য পরিচর্যা করে যাচ্ছে। উপজেলার সামটা গ্রামের মফিজুর রহমান বলেন, এবছর আম গাছে অনেক গুটি এসেছিল কিন্তু প্রচন্ড তাপে আমাদের সব স্বপś পুড়ে যাচ্ছে। গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেও রক্ষা করা যাচ্ছে না আমের মুকুল। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এবছর আমের ফলন মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।স্থানীয় হাড়িখালী গ্রামের আম ব্যবসায়ি সালাম জানান, বাগান মালিকদের বিঘা প্রতি অগ্রিম ৪০-৪৫ হাজার টাকা দিতে হয়।আবার বাগান পরিচর্যার কাজে প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়।আম চাষে এখন লাভ তো দুরের কথা খরচের টাকাও উঠবে না। শুধু শার্শা নয়, এ অবস্থা বিরাজ করছে আমের উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে থাকা কলারোয়া,চৌগাছা, মহেশপুর এলাকার চাষীরা। ক্ষতিগ্রস্ত আমচাষীরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারের কাছে প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন।